Portfolio

দুই হাজার আট অথবা নয় সালের কোন সময় এক সাতোশী নাকামুরা নামের জাপানি জিনিয়াস একটা অনলাইন ফোরামে একটা আইডিয়া শেয়ার করলেন। সাতোশী এমন একটা ডিজিটাল কারেন্সি সিস্টেমের আইডিয়া দিলেন যেইটা সম্পুর্ণ ডিসেন্ট্রালাইজড, এবং ভার্চুয়াল। কোন অথোরিটিই থাকবে না এর পেছনে। ধরেন মার্কিন ডলারের কথা। এর অথোরিটি হইলো ইউএস গভার্মেন্ট। ইউএস গভার্মেন্ট ছাড়া দুনিয়ার কেউই এই ডলার ছাপাতে পারবে না। সাতোশীর আইডিয়া ছিল এর বিপরীত। অথোরিটিকে ফাক সাইন দেখানো তার আইডিয়া যেহেতু সম্পুর্ণ ডিসেন্ট্রালাইজ হবে, সুতরাং এই সিস্টেমটা কীভাবে কাজ করবে তার একটা ব্লুপ্রিন্ট ও আপলোড করলেন। যেখানে প্রত্যেকটা বিষয় ব্যাখা করা ছিলো। আর এই সিস্টেমটাই হইলো ব্লকচেইন। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট আবিষ্কারের পর যে আবিষ্কার মানব সভ্যতাকে আগামী দিন গুলিতে বদলে দিবে। অনেকে সাতোশীকে বিটকয়েনের জনক হিসেবে চিনলেও তিনিই যে ব্লকচেইন আইডিয়ার আদি বাপ এই কথা কজনে জানে সন্দেহ। সাতোশী ব্লকচেইনকে কেন্দ্র করে চালু করছিলেন বিটকয়েন, যে বিটকয়েন পুরা মুদ্রাব্যবস্থাকে ঝাঁকি দিয়ে গেছে এবং এবং সেই ঝাঁকি সবখানেই ছড়িয়ে পরতেছে ধীরে ধীরে, যা বাকি লেখায় ক্লিয়ার হয়ে যাবে। -ব্লকচেইন কি? ব্লকচেইন মানে হইলো ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার। এখানে এই লেজার মানে হইলো ধরেন, হিসাবের খাতা। এক গ্রামে মানূষ জিনিসপত্র আদান প্রদান করতো। এখানে হিসাব রাখতো গ্রামের মুরুব্বি। কারন তার স্মৃতিশক্তি ভালো। তার মাধ্যমেই হিসাবের কাজ হইতো।কারন তখনো লেখা আবিষ্কার হয় নি। কিন্তু মুরুব্বির মাথার উপর ভরসা রাখলে হয় তো না। মানুষের বাচ্চা যেহেতু কাজেই ভুলভাল করা তার বৈশিষ্ট্য। সুতরাং প্রায়শই হিসাবে ঝামেলা হইতে লাগলো। যখন ঝামেলা আসে তখন সমাধানের দুয়ার ও খুলে যায়। একদিন কেউ একজন গাছের ছালবাকলে লেখার প্রযুক্তি আবিষ্কার করে ফেলো। রীতিমতো যুগ বদলে দেওয়া প্রযুক্তি তখনকার বিচারে। সেইই থেকে মানূষ ছাল-বাকলে হিসাব রাখা শুরু করলো। এরপর ধরেন প্যাপিরাস পাতা থেকে বানানো পেপারে হিসাব রাখা শুরু করলো। মোটকথা হিসাবের ব্যাপারটা চলে আসলো আলাদা হিসাব খাতায়, যেখানে সব সংরক্ষিত থাকতো। বাট এখানে একটা সমস্যা দেখা দিলো। এক গরিব কৃষক তার জমি বন্ধক রেখে মহাজনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিলো। ৫ বছর মহাজন এসে বললো সে ৫ লাখ টাকা পায়। সুদে আসলে নাকি এতই হয়েছে। ফলাফল গরিব কৃষক ক্ষমতাবান মহাজনের কাছে জমি হারালো। এইখানে সমস্যাটা হইলো হিসাবের খাতার উপর কন্ট্রোল থাকে মহাজনের। ফলে মহাজন এখানে জুলুম বাটপারি করে কৃষকের জমি খেয়ে দিলো। এরপর এই সমস্যাটাকে কাটানোর জন্যে ব্যাংক ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গুলা দ্বিপক্ষীয় হিসাবের খাতা চালু করলো। দুই পক্ষের কাছেই হিসাবের খাতা থাকবে।এভাবে দেশে বিদেশে বিজনেসে দুই পক্ষই হিসাবের খাতা রাখে। বাট এখানেও সমস্যা আছে। প্রচুর লেনদেন হইলে যা হয়, দুই পক্ষের লেজার বা হিসাবের খাতার মধ্যে প্রায়সই গরমিল হয়ে যায়। দুইটা খাতাতেই হিসাব তুলতে হয়, চেক করতে হয়। ভুল টুল হইলে আবার রি-চেক দিতে হয়। এতে লোক লাগে, খরছ বাড়ে, এবং ফি ও বেড়ে যায়। বাট যদি যদি এমন একটা সিস্টেম দাড় করানো যায়, যে সিস্টেমে শুধুমাত্র একটা হিসাবের খাতা থাকবে, এবং খাতাটা থাকবে একটা নেটওয়ার্কের মধ্যে, এবং অংশগ্রহনকারী পক্ষের সবাই এতে যুক্ত থাকবেন এবং সেই খাতা দেখতে পারবেন, তাহলে কিন্তু কোন সমস্যাই থাকে না। এছাড়া এতে আদান প্রদানে কোন সময় লাগবে না। ফি ও কমে যাবে, এবং সবচেয়ে মোস্ট ইম্পর্টেন্ট, স্বচ্ছতা বজায় থাকে, সবার সংযুক্তি থাকে বলে কেউ একজন ভুল তথ্য দিলেও রিজেক্ট করে দিবে, কারণ তা অন্যদের সাথে মিলবে না। মোটকথা জালিয়াতির দিন শেষ হইলো বলে। টেকনিক্যাল আলাপে না গিয়ে একদম ইজি ভাবে বললে এইটাই হইলো ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার বা ব্লকচেইনের আইডিয়া।যা সাতোশী নাকামুরা নামের জিনিয়াস বান্দার মাথা থেকের বের হইছিলো। বর্তমানে ব্লকচেইনের প্রচুর ব্যাবহার হইতেছে। এর একটা সফল উদাহারণ হইলো বিটকয়েন। এটা একটা ক্রিপ্টোকারেন্সি যেইটা ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিচালিত হচ্ছে। মনে করেন আপনার কাছে ৫ বিটকয়েন আছে। আপনি এক ১ বিটকয়েন দিয়ে একটা গরু কিনলেন দোকান থেকে। ব্লকচেইনের লেজারে হিসাবটি যুক্ত হবে যে আপনার একাউন্ট থেকে ১ বিটকয়েন নাই। ওইটা দোকানদারের একাউন্টে চলে গেছে। এখন আপনি যদি নিজেকে কুতুব ভাবেন, এবং চালাকি করে ভাবলেন আপনার আগের বিটকয়েন দিয়ে অন্য দোকান থেকে একটা ছাগল কিনতে চাইলেন, তখন লেজারের সাথে মিলিয়ে দেখা হবে, এবং রিজেক্ট হবে। কারণ আপনার বিটকয়েন আগেই আপনার একাউন্ট থেকে গরু-দোকানদারের একাউন্টে চলে গেছে তা আগে লিপিবদ্ধ করা হয়ে গেছে। সুতরাং এই বিটকয়েন আপনার একাউন্টে নাই। ব্লকচেইনের লেজারে যে ডাটা এন্ট্রি হয় এইগুলা কিন্তু সবই অমোছনীয় ডাটা। অর্থাৎ আপনি চাইলেও মুছতে পারবেন না। এই ব্লকচেইন পুরো দুনিয়াকে কীভাবে বদলে দিবে এই নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা হচ্ছে এবং হবেও। বিশেষত পাসপোর্ট জালিয়াতি থেকে শুরু করে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জালিয়াতে ঠেকাতে ব্লকচেইন খুবই গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখবে। এবং ব্লকচেইনকে ঘিরে গড়ে উঠা ক্রিপ্টো-কারেন্সি একদিন ব্যাংক ব্যবস্থার ইয়ে মেরে সারা করে দিতে ও পারে। আপনার কাছে শুনতে খুবই অবাক মনে হতে পারে। তাহলে জাস্ট চিন্তা করেন, আজ থেকে ২০ বছর আগেও কি ভাবতে পেরেছিলেন পুরা দুনিয়ার তথ্য ভাণ্ডার আপনার ফোনেই থাকবে। আপনি ফোনে করেই ট্যাক্সি ডাকবেন, খাবার অর্ডার দিবেন, এমনকি ঘরে বসেই ডিগ্রি নিয়ে ফেলবেন?? এখন শুরুতে যে বললেন ডিসেন্ট্রালাইজ সিস্টেম, তা বিটকয়েন কেমনে ডিসেন্ট্রালাইজ হইলো?? ওয়েল, সাধারনত বড় বড় কোম্পানি গুলোর ডাটা বা অনলাইনের যে কোন কিছুর ডাটাই বলেন না কেন, এগুলা জমা থাকে ডাটা সেন্টার গুলোতে। ভাল করে বললে ডাটা সেন্টারের মালিকরা কিন্তু চাইলেই এই ডাটাতে হাত দিতে পারে। ম্যানিপুলেট করতে পারে। কিন্তু বিটকয়েনের কিন্তু কোন নিজস্ব ডাটা সার্ভার নাই। তাইলে এর ডাটা গুলা প্রসেস কীভাবে হয়?? এর উত্তর হইলো -জনগনের মাধ্যমে। আপনারা বিটকয়েন মাইনের কথা শুনেছেন নিশ্চয়। এই বিটকয়েন মাইন করেই মুলত সাধারন মানূষেরা। তাদের নিজস্ব কম্পিউটারে, এবং এই কম্পিউটার গুলিতেই বিটকয়েনের যাবতীয় ট্রানজেকশন সহ অন্যান্য ডাটা প্রসেসিং এর কাজ হয়ে থাকে। তো বিষয়টা দাড়াইলো যে, বিটকয়েনের লেনদেন গুলি প্রসেস করে সাধারণ মানুষের কম্পিউটার ব্যবহার করে এবং তা সারা পৃথিবী জুড়ে জুটে কোটি কোটি কম্পিউটারে। এই টোটাল কম্পিউটেশনের পাওয়ার গুগল-ফেসবুক এর টোটাল সার্ভারের চেয়ে দ্বিগুন বেশি পাওয়ারফুল! 😛 তার মানে বুঝতেই পারছেন, আপনার আশেপাশের যে লোকটি দিনরাত কম্পিউটার চালু রেখে মাইন করছে সে কিন্তু এই গ্লোবাল ব্লকচেইন টেকনোলজিতেই কন্ট্রিবিউশন করতেছে। এবং মাইনিং এর মাধ্যমে বা প্রত্যেকটা ট্রানজেকশনে কম্পিউটেশন করে দিয়ে সে নিজেও উপার্জন করতেছে! ওয়েট, মাইন করে উপার্জন? ক্যামনে? বিটকয়েন বা কোন কয়েনই কিন্তু আপনা-আপনি সৃষ্টি করা যায় না। একে মাইন করতে হয়। সোনার সাথে তুলনা করতে পারেন, খনি থেকে গোল্ড মাইন করে তুলে আনতে হয়, তবেই এটা আপনি লেনদেনে ব্যবহার করতে পারবেন। তেমনি ও বিটকয়েনের মালিক হইতে হইলে মাইনিং প্রসেসের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আপনি যখন মাইন করবেন তখন আপনি বিটকয়েন উপর্জন করতে পারবেন। শুরুর দিকে বিটকয়েনকে কেউই পাত্তা দেয় নি। আপনি ও পাত্তা দিতেন না শিউর। আজ থেকে ১৫ বছর আগে কেউ যদি আপনাকে এসে বলতো চলো, মাইন করে বিটকয়েন জমাই, ১৫ বছর পর একেক বিটকয়েন যখন ৫০ লাখ টাকা হবে তখন আমরা কোটিপতি হয়ে যাবো, মায়ামি বিচে গিয়ে সুন্দরীদের সাথে জলকেলি করবো! তখন নিশ্চয় আপনি ডাহা চাপাবাজি বলে উড়িয়ে দিতেন। বাট শেষমেষ সেইটাই হয়েছে। একেক বিটকয়েন এখন ৬০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ৭১ লাখ টাকা মাত্র। শুরু দিকে যারা মাইন করছে তারা আজ কোটিপতি। এখন অবশ্য প্রতিযোগিতা প্রচুউউর বেড়ে গেছে, ফলে আগের মত ইজিলি মাইন করা যায় না। আর বিটকয়েনের উৎপাদন সীমিত। মাত্র ২১ মিলিয়ন বিটকয়েন উতপাদন করা যাবে। এর মধ্যে ১৮ মিলিয়ন ডান। আর কয়েবছরের মধ্যেই বাকিগুলো ও হয়ে যাবে। তখন একেক বিটকয়েনের দাম যে কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে তা বলার অপেক্ষাই রাখে না। এছাড়া মার্কেটে বিটকয়েনের মত প্রচুর কারেন্সি আছে। যেমন ইথারিয়াম, রিপল, পাই কয়েন ইত্যাদি। এইগুলার দাম ও আস্তে আস্তে বাড়তেছে। এই কারনে বিটকয়েনের মত ডিজিটাল কারেন্সি তথা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে অনেকে ইনভেস্ট করতেছে। শুধু তাই নয়, ক্রিপ্টোর মার্কেট ক্যাপিটাল এখন ১ ট্রিলিয়ন ডলার!! সামনে আরো বাড়বে এতে সন্দেহ নাই। সুতরাং আপনার যদি টাকা পয়সা থাকে, তাইলে ক্রিপ্টোতে ইনভেস্ট করার চিন্তা ভাবলে করলে করতেই পারেন। ও! তার মানে আমাদের মত গরিবদের উপার্জনের কোন চান্স নাই? আছে আছে! অবশ্যই আছে। তয় এইজন্যে প্রচুর ঘাঁটাঘাঁটি করা লাগে। কোথায় কোথায় কোন ক্রিপ্টো ফ্রি দিচ্ছে কিনা এইসব নিয়ে আপডেট থাকা লাগে। সাধারন মার্কেটে নতুন কোন কারেন্সি আসলেই শুরুতে কিছু ক্রিপ্টো ডিস্ট্রিবিউট করে দেওয়া হয় বিভিন্ন মাধ্যমে। যারা নিতে পারে তারা পারে। যারা পারে না তারা চেয়ে থাকে। তাই গরিবদের মুল ভরসা থাকে মার্কেটে নতুন আসা এসব ক্রিপ্টোর দিকে! তবে আমি আপনাদের আজকে একটা ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আইডিয়া দিবো, যা আপনারা একদম ফ্রিতে, ইনভেস্ট ছাড়াই, জাস্ট মোবাইল দিয়েই নিতে পারবেন। এটা এত সহজ যে, আপনার ব্যাটারি ও ড্রেইন করবে না। ইভেন্ট ডাটা ও কাটবে না। সবসময় চালু ও রাখা লাগবে না। আপনার যা দরকার হবে তা হলো এক্টিভ থাকা।এইজন্যে ২৪ ঘন্টা পর পর একবার করে হাজিরা দিবেন এপে। মানে জাস্ট এপস একবার ওপেন করবেন ২৪ ঘন্টায়। যা করতে মোটে ৫ সেকেন্ড লাগবে। হোয়াটেভার, এই কয়েনের নাম হচ্ছে পাই কয়েন। এই যে প্রতিবছর বিশ্বে পাই দিবস হয়, ৩.১৪=পাই! এই পাই এর নামেই নামকরণ করা হয়েছে এর। এবং এটা হচ্ছে পৃথিবীর সর্বপ্রথম কয়েন যা মোবাইল দিয়ে মাইন করা যায়। এইজন্যে আপনাকে পিসির মালিক হতে হবেও না। পাই কয়েন চালু হয়েছে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির দুজন ঘাঘু পিএচিডি করা মানুষের হাত ধরে। একজন Dr Chengdiao Fan অ্যান্থ্রোপলজি সায়েন্স থেকে পিএইচডি করা, অন্যজন Dr Nicolas Kokkalis কম্পিউটার সায়েন্স থেকে পিএইচডি করা। অনলাইনে সহজেই সার্চ করে বের করে ফেলতে পারবেন এদের সম্পর্কে। বিটকয়েন যেখানে দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার হবার কথা ছিলো, সেটা হয় নি। হয়ে গেছে স্টকের মত। দাম হয়ে গেছে অনেক বেশি। এছাড়া এই সোনার হরিনের মত এই জিনিসটি জনগনের ধরা ছোয়ার বাইরে। বেশিরভাগ বিটকয়েন বড় বড় মাইন কোম্পানিদের দখলে। তাই পাই এর উদ্যোক্তারা চিন্তা করলেন এমন একটা কারেন্সির কথা, যে কারেন্সি হবে আক্ষরিক অর্থেই জনগনের কারেন্সি। মানুষ কফি কিনতে গেলেও যাতে পাই দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করবে। মুলত এইভাবনা থেকে ব্লকচেইন সিস্টেমের অধীনে অন্য ১০টা কারেন্সির মত পাই এর পথচলা শুরু হয় ২০১৭ সালের পাই দিবসে। আজ থেকে ৮ বছর আগে। যে জনগনের কথা চিন্তা করে এই কয়েনের আবিভার্ব সেই সাধারণ মানুষ যাতে সহজে মাইন করতে পারে সে জন্যে একে মোবাইল দিয়ে মাইনেবল করানো হয়েছে। এই ৭ বছরের পাই এর কমুনিটি হয়েছে ৫৫+ মিলিয়ন প্লাস। শুরুর দিকে কেউ স্ক্যাম ভেবে পাত্তা না দিলেও এখন সবাই এটাকে সিরিয়াসলি নিতে শুরু করছে এবং পাই এর মাইন অফ হয়ে যাবার আগেই যে যতটা পারে পাই বাগিয়ে নিচ্ছে। কীভাবে কি করবো? বলেন কুইক! — প্রথমে যাবেন প্লেস্টোরে, গিয়ে লিখবেন Pi Network. তারপর চোখ বন্ধ করে ইনস্টল করে ফেলবেন। — ইনস্টল করার পরে এর পর ফোন নাম্বার অথবা ফেসবুক দুইটার যে কোন একটা দিয়ে একাউন্ট খুলতে বলবে। আপনি ফোন নাম্বার দিয়ে একাউন্ট খুলবেন। যে নাম্বার দিয়ে খুলবেন তা যেন আপনার ফোনে চালু থাকে। দেখতে যেমনই হোক একটা শক্ত পার্সওয়ার্ড দিবেন। আর হ্যা নাম দিবেন একদম আসল নাম। যেটা আপনার এনআইডি কার্ডে বা বার্থ সার্টিফিকেটে আছে। ভুয়া নাম দিয়ে আইডি খুললে পরে আম ও যাবে ছালা ও যাবে। ইউজার নেম আপনার ইচ্ছামতো যে কোন একটা দিতে পারেন। — Who Invited you অপশনে raisulsohan এইটা দিবেন। এইটা আমার রেফারেল কোড। আমার রেফারেল কোড দিলে আপনি ইনস্টান্টলি এক পাই ফ্রি পাবেন, কারণ এখন প্রতিযোগীতা এতো বেড়ে গেছে যে এক পাই মাইন করতে আপনার ৩/৪ দিন লেগে যেতে পারে, সেখানে ইন্সট্যান্ট এক পাই পাওয়াটা লাভ বৈ ক্ষতি হবে না। এবং এত কষ্ট করে যে এত বড় লেখা লিখলাম, এর একটা মুল্য পরিশোধ করতেও পারেন আমার রেফারেল কোড দিয়ে আইডি খুললে। আপনি অবশ্যই আপনার নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ইউজার নেম দিবেন। — এবার আপনার একাউন্ট ক্রিয়েট হয়ে যাবে। একদম সহজেই। মাত্র দুই মিনিটে আপনি পাই এর একাউন্ট ক্রিয়েট করে ফেললেন। এখন আপনার কাজ হচ্ছে, ২৪ ঘন্টা পর পর একবার করে অ্যাপসে ঢোকা। কারণ ২৪ ঘন্টা পর মাইন অফ হয়ে যায়। তাই ২৪ ঘন্টা পর পর শুধু মাইন চালু করতে হবে। ব্যস। আপনার আর কোন কাজ নাই। তবে আপনি চাইলে আপনার রেফারেল কোড দিয়ে আপনার বন্ধু বান্ধবদের দিয়ে আইডি ক্রিয়েট করিয়ে দিতে পারেন। এতে আপনার পাই এর মাইন রেট বাড়বে, এবং প্রতিদিন বেশি বেশি পাই আর্ন করতে পারবেন। যত বেশি রেফারেল আপনি ম্যানেজ করতে পারবেন, প্রতিদিন ততবেশি পাই আপনি ম্যানেজ করতে পারবেন। এবার এই কয়েন নিয়ে কিছু কথা বলি। এই পাই কয়েন এর এই মুহুর্তে কোন ভ্যালুই নাই। এখন শুধু মাইনিং ফেইজ চলতেছে। এবং ইতিমধ্যে পাইয়ের ইউজার কমিউনিটি এখন ৫৫ মিলিয়ন পার হয়ে গেছে। মানে প্রায় ৬ কোটির কাছাকাছি। ইতিমধ্যে পাইয়ের কমিউনিটি ইউজারদের KYC রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়ে গেছে। মানে আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই পাই ক্রিপ্টো মার্কেটে লঞ্চ হবে। আপনি অ্যাকাউন্ট খুলে অবশ্যই KYC রেজিস্ট্রেশন করে নিবেন। এটা মাস্ট। KYC হবার জন্য ইউজার নামের সাথে NID নাম মিল রাখা ভালো। KYC হতে একটু টাইম নিচ্ছে কিন্তু হবে। বলে রাখা ভালো সম্প্রতি বিটকয়েন বাদে আর কোন ক্রিপ্টো কারেন্সিরই এতো বড় ইউজার কমিউনিটি নাই। অনেকে বলে তখন এক পাই সমান ১০ ডলার হবে। কেউ বলে ১০০ ডলার। আবার কেউ বলে বড়জোর ২০ সেন্ট হবে। হোয়াটেভার! যতই হোক তখন আপনি আপনার পাই দিয়ে লেনদেন করতে পারবেন কিংবা সরাসরি বেচে দিতেও পারবেন। বাট মনে রাখবেন, এখন এই পাই এর কোন মুল্যই নাই। জাস্ট ভবিষ্যতের উপর ভরসা করে মাইন করবেন। বিটকয়েনের শুরু দিকে যারা একদিন এর দাম বাড়বে বলে আশায় আশায় মাইন করছিলো তাদের মতো করে। আপনি জিততেও পারেন অথবা নাও জিততে পারেন। অবশ্য যে হারে পাই এর ক্রেজ শুরু হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে এই বছরের শেষের দিকে কিংবা আগামি বছর পাই দিবসেই এই কয়েন মার্কেটে লঞ্চ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আপনার হাতে সময় আছে ফ্রিতে পাই কয়েন মাইন করার। সুতরাং Just grab it guys while free! There is a chance you could be changing your financial situation forever. If it flops, what did you lose? The time and effort put in to open an app once a day and press a button?